সম্প্রতি দেশের নাম পরিবর্তন করে তুরস্ক। জাতিসংঘে তুরস্কের নাম পরিবর্তন করে তুর্কিয়ে (Türkiye) রাখা হয়। এর আগে দেশটির দাফতরিক নাম ছিলো তুর্কি (Turkey)।

বুধবার (১ জুন) জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত সাভাসোগলুর কাছ থেকে নাম পরিবর্তনে তুর্কির পরিবর্তে তুর্কিয়ে (Türkiye) লেখার আবেদন করেন। আবেদপত্র গ্রহণের পরই জাতিসংঘ নাম পরিবর্তনে রাজি হয়। বিবিসির খবরে বলা হয়, তুরস্ককে বিশ্বের সামনে নতুন করে উপস্থাপন করতেই এ নাম পরিবর্তন করান দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

নাম পরিবর্তনের ঘোষণার পরই দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি কিছু যৌক্তিক কারণও ব্যাখা করেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তুরস্ককে বিশ্বের সামনে নতুন করে পরিচিত করানোর পাশাপাশি নাম পরিবর্তন বেশ কয়েকটি কারণে জরুরি। এর মধ্যে একটি হলো- পশ্চিমা বিশ্বে ক্রিসমাস, নববর্ষ এবং থ্যাংকস গিভিং উৎসবের সময় ঐতিহ্যগত কারণে টার্কি মুরগির মাংস খায়।

সেই জায়গা থেকেও টার্কির নাম পরিবর্তন জরুরি। এছাড়া টিআরটি আরো জানায়, ইংরেজি ভাষার ডিকশনারিতে টার্কি বলতে ব্যর্থ, নির্বোধ বা বেকুব ব্যক্তিকে বুঝায়।

ইস্তাম্বুল কেন্দ্রিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইডিএএমের চেয়ারম্যান সিনান উল্গেন জানিয়েছেন, পাখির নামের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা মুছে ফেলতে তুরস্কের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া এই শব্দটির আরেকটি অর্থ হলো ‘ব্যর্থতা।’ এটিও নামটি পরিবর্তনের একটি বড় কারণ।

গত বছরের ডিসেম্বরে এরদোগান বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতীক হলো টুর্কিয়ে । তিনি আরও বলেন, টুর্কিয়ে শব্দটিই তুর্কি জাতি, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে সবচেয়ে ভালোভাবে উপস্থাপন করে।

তিনি তুর্কি কোম্পানিগুলোকে তাদের রফতানি পণ্যে ‘মেড ইন টুর্কিয়ে’ লেখার পরামর্শ দেন।